আয়াতুল কুরসি কি (Ayatul Kursi) :আয়াতুল কুরসি বাংলা ও আরবি উচ্চারণ। এবং আয়াতুল কুরসির ফজিলত বিস্তারিত
আয়াতুল কুরসি কি (Ayatul Kursi) :আয়াতুল কুরসি বাংলা ও আরবি উচ্চারণ। এবং আয়াতুল কুরসির ফজিলত বিস্তারিত
![]() |
আয়াতুল কুরসি কি (Ayatul Kursi) :আয়াতুল কুরসি বাংলা ও আরবি উচ্চারণ |
পবিত্র কোরআন শরিফের দ্বিতীয় সুরা বাকারা। সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত আয়াতুল কুরসি নামে পরিচিত। এটি কোরআন শরিফের প্রসিদ্ধ আয়াত। পুরো আয়াতে আল্লাহর একত্ববাদ, মর্যাদা ও গুণের বর্ণনা থাকার কারণে আল্লাহ তাআলা এ আয়াতের মধ্যে অনেক ফজিলত রেখেছেন। এটি পাঠ করলে অসংখ্য পুণ্য লাভ হয়।
আরো জানতে পড়ুন
আয়াতুল কুরসি শব্দের অর্থ কি?
আয়াতুল অর্থ আয়াত বা পঙক্তি বা লাইন। এখানে কুরআন শরীফের আয়াতকে বুঝানো হয়েছে।
কুরসী শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, চেয়ার বা বসার আসন। কিন্তু সঠিক মত অনুযায়ী, কুরসী অর্থ হচ্ছে পা রাখার জায়গা।
মহান আল্লাহ বলেন, وَسِعَ كُرْسِـيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ
উচ্চারণঃ ওয়াসিআ’ কুরসি-ইয়ুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ।
অর্থঃ তাঁর (আল্লাহর) কুরসী সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টন করে আছে।
আয়াতুল কুরসিতে তাওহীদ, ইখলাস, আল্লাহর ইসমে আযম, আল্লাহর ক্ষমতা ও সিফাত, ‘আল্লাহর কুরসির’ মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বর্ণিত হয়েছে।
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ (Ayatul Kursi Bangla)
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম। লা তা খুজুহু সিনাতু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মান জাল্লাজি ইয়াশ ফাউ ইনদাহু ইল্লা বি ইজনিহি, ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম মিন ইল মিহি ইল্লা বিমা শা আ, ওয়াসিয়া কুরসি ইউহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলি ইয়ুল আজিম।
অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও জমিনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর।
কে আছ এমন যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে, সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোনো কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর কুরসি (সিংহাসন) সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
আয়াতুল কুরসিতে মোট ৯টি বাক্য আছে। প্রথম বাক্যের সঙ্গে নবম বাক্য, দ্বিতীয়র সঙ্গে অষ্টম বাক্য, তৃতীয়র সঙ্গে সপ্তম বাক্য ও চতুর্থর সঙ্গে ষষ্ঠ বাক্যের অলৌকিক মিল! বাদ পড়ে শুধু পঞ্চম বাক্য। সেটি মাঝে থেকে কী সুন্দরভাবে তার অর্থ ও অবস্থানকে অর্থবহ করে তোলে।
হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়েন, তঁার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না। হজরত আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ (রা.) রাসুলুল্লাহকে (সা.) জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন কোন আয়াতটি নাজিল হয়েছে? রাসুল (সা.) বলেছিলেন, আয়াতুল কুরসি।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) একদিন দেখতে পেলেন, এক ব্যক্তি সদকার মাল চুরি করছে। তখন তিনি তার হাত ধরে বললেন, ‘আমি তোমাকে আল্লাহর রাসুল (সা.)–এর কাছে নিয়ে যাব।’ তখন আগন্তুক বলে যে সে খুব অভাবী। আবু হুরায়রা (রা.) তাকে ছেড়ে দিলেন। পরদিন সকালে রাসুল (সা.)–এর কাছে আসার পর তিনি আবু হুরায়রা (রা.)–কে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘গতকাল তোমার অপরাধীকে কী করেছ?’ আবু হুরায়রা তখন তাকে ক্ষমা করার কথা বললেন।
রাসুল (সা.) বললেন, ‘সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে, সে আবার আসবে।’ পরদিন আবু হুরায়রা চোরকে পাকড়াও করলেন আর বললেন, ‘এবার অবশ্যই আমি তোমাকে আল্লাহর রাসুল (সা.)–এর কাছে নিয়ে যাব।’আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ-ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস-সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মাং যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহু ইল্লা বি-ইযনিহ। ইয়া’লামু মা বাইনা আয়দীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহী’তুনা বিশাইয়িম-মিন ই’লমিহী ইল্লা বিমা-শা’-আ; ওয়াসিআ’ কুরসি-ইয়ুহুস-সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ; ওয়ালা ইয়াউদুহু হি’ফযুহুম, ওয়া হুওয়াল আ’লিইয়ুল আ’যীম।
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ
আয়াতুল কুরসি আরবি
কোরআন শরীফের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদাসম্পন্ন ও ফজিলতপূর্ণ আয়াত হচ্ছে আয়াতুল কুরসি (ayatul kursi)। আয়াতুল কুরসি হচ্ছে সেই আয়াত যেখানে আলাহ তায়ালার মহত্ব ও বড়ত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। এটি হচ্ছে কোরআন শরিফের সবচেয়ে সুমহান আয়াত। আয়াতুল কুরসি সম্পর্কে নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “যদি কোন বান্দা প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পড়ে আয়াতুল কুরসি পাঠ করে তবে ওই ব্যক্তি আর জান্নাতের মধ্যে মৃত্যু ছাড়া আর কোন আড়াল থাকবে না।”এই আয়াতের মর্যাদা অনেক বেশি। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ সহ অর্থ এবং এর গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
আয়াতুল কুরসি শব্দের অর্থ কি?
আয়াতুল অর্থ আয়াত বা পঙক্তি বা লাইন। এখানে কুরআন শরীফের আয়াতকে বুঝানো হয়েছে।
কুরসী শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, চেয়ার বা বসার আসন। কিন্তু সঠিক মত অনুযায়ী, কুরসী অর্থ হচ্ছে পা রাখার জায়গা।
মহান আল্লাহ বলেন, وَسِعَ كُرْسِـيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ
উচ্চারণঃ ওয়াসিআ’ কুরসি-ইয়ুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ।
অর্থঃ তাঁর (আল্লাহর) কুরসী সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টন করে আছে।
আয়াতুল কুরসিতে তাওহীদ, ইখলাস, আল্লাহর ইসমে আযম, আল্লাহর ক্ষমতা ও সিফাত, ‘আল্লাহর কুরসির’ মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বর্ণিত হয়েছে।
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ (Ayatul Kursi Bangla)
আল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হা’ইয়ুল ক্বাইয়ূম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ-ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস-সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ। মাং যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহু ইল্লা বি-ইযনিহ। ইয়া’লামু মা বাইনা আয়দীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহী’তুনা বিশাইয়িম-মিন ই’লমিহী ইল্লা বিমা-শা’-আ; ওয়াসিআ’ কুরসি-ইয়ুহুস-সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ; ওয়ালা ইয়াউদুহু হি’ফযুহুম, ওয়া হুওয়াল আ’লিইয়ুল আ’যীম।
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ
আয়াতুল কুরসি আরবি
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসি পড়ার/পাঠের উপকারিতাঃ
একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদের যাকাতের মাল-সম্পদ দেখাশুনার দায়িত্ব দেন আবু হুরায়রা (রা.)-কে। কিন্তু রাতের বেলা যাকাতের মাল থেকে এক ব্যক্তি চুরি করতে এসে পরপর তিনদিন ধরা খেয়ে যায়। তবে, বিভিন্ন কৌশলে ও মিথ্যা বলে সে বেঁচে যায়। সর্বশেষ দিন আবু হুরায়রা (রা.) তাকে রাসূলের কাছে নেওয়ার কথা বললে সে বলে,
‘তুমি আমাকে ছেড়ে দাও। আমি তোমাকে এমন কতগুলো শব্দ শিখিয়ে দেবো, যার দ্বারা আল্লাহ তোমার উপকার করবেন।’ আমি বললাম, ‘সেগুলো কী?’ সে বললো, ‘যখন তুমি (ঘুমানোর জন্য) বিছানায় যাবে, তখন আয়াতুল কুরসি পাঠ করে ঘুমাবে। তাহলে তোমার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত হবেন। সকাল পর্যন্ত তোমার কাছে শয়তান আসতে পারবে না।’
তখন আবু হুরায়রা (রা.) তাকে ছেড়ে দেন এবং এই ঘটনা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে জানান। তিনি এটি শুনে বললেন,
‘‘শোনো! সে নিজে ভীষণ মিথ্যাবাদী; কিন্তু তোমাকে সত্য কথা বলেছে। হে আবু হুরাইরা! তুমি কি জানো, তিন রাত ধরে তুমি কার সাথে কথা বলেছিলে?’’ আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, ‘জি না।’ তিনি বললেন, ‘‘সে ছিলো শয়তান!’’ [বুখারি, আস-সহিহ: ২৩১১]
উপরোক্ত ৩টি ঘটনা “আয়াতুল কুরসি” এর গুরুত্ব প্রকাশ করে। তাই আমাদের উচিত আয়াতুল কুরসির উপরে আমল করা।
এক নজরে আয়াতুল কুরসি সম্পর্কিত হাদিস
হাদিস শরিফের ভাষ্যানুযায়ী আয়াতুল কুরসি পাঠের বিশেষ চারটি ফজিলত রয়েছে-
১. হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকে না। (নাসাঈ)
২. হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় থাকে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি শোয়ার আগে পড়বে আল্লাহ তার ঘর, প্রতিবেশীর ঘর এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। (বায়হাকি)
৩. হজরত উবাই বিন কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মাজিদের কোন আয়াতটি সর্বশ্রেষ্ঠ? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আল্ হাইয়্যুল কাইয়্যুম) তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাত তার বুকে রেখে বলেন, আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। (মুসলিম)
৪. আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সুরা বাকারার মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যে আয়াতটি পুরো কোরআনের নেতাস্বরূপ। তা পড়ে ঘরে প্রবেশ করলে শয়তান বের হয়ে যায়। তা হলো ‘আয়াতুল কুরসি’। (মুসনাদে হাকিম)
সবার উচিত এই ফজিলতপূর্ণ আয়াত মুখস্থ করা:
এবারও সেই চোর বলে যে সে খুব অভাবী আর তার অনেক প্রয়োজন আর শপথ করে যে আর আসবে না। পরদিন আবারও রাসুল (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি একই জবাব দেন আর তখন তিনি বলেন, ‘আসলেই সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে আর সে আবারও আসবে।’ পরদিন আবারও আবু হুরায়রা (রা.) চোরের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন আর যখন সে আবারও চুরি করতে এল, তখন তিনি তাকে পাকড়াও করলেন আর বললেন, ‘এবার অবশ্যই আমি তোমাকে আল্লাহর রাসুল (সা.)–এর কাছে নিয়ে যাব।’ চোর যখন দেখল এবার তাকে সত্যিই রাসুল (সা.)–এর কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, তখন অবস্থা বেগতিক দেখে সে বলে, ‘আমাকে মাফ করো। আমি তোমাকে এমন কিছু বলে দেব, যার মাধ্যমে আল্লাহ তোমাকে কল্যাণ দান করবেন।’
আবু হুরায়রা (রা.) সেটা জানতে চাইলে চোর বলে, ‘যখন ঘুমাতে যাবে, তখন আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমাবে, তাহলে আল্লাহ তোমার জন্য একজন পাহারাদার নিযুক্ত করবেন, যে তোমার সঙ্গে থাকবে আর কোনো শয়তান সকাল পর্যন্ত তোমার কাছে আসতে পারবে না।’ এটা শুনে আবু হুরায়রা (রা.) তাকে ছেড়ে দিলেন। পরদিন রাসুল (সা.) আবার অপরাধীর কথা জানতে চাইলে তিনি আগের রাতের কথা বললেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘যদিও সে চরম মিথ্যাবাদী কিন্তু সে সত্য বলেছে।’ রাসুল (সা.) আবু হুরায়রা (রা.)–কে বললেন, ‘তুমি কি জানো সে কে?’ আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, ‘না’। রাসুল (সা.) আবু হুরায়রা (রা.)–কে বললেন, ‘সে হচ্ছে শয়তান।’ [সহিহ বুখারি নম্বর ২৩১১]
FAQs
আয়াতুল কুরসি শব্দের অর্থ কি?
আয়াতুল অর্থ আয়াত বা পঙক্তি বা লাইন। এখানে কুরআন শরীফের আয়াতকে বুঝানো হয়েছে। আয়াতুল অর্থ আয়াত বা পঙক্তি বা লাইন। এখানে কুরআন শরীফের আয়াতকে বুঝানো হয়েছে। সূরা বাকারার ২৫৫ তম আয়াতকে আয়াতুল কুরসি বলা হয়।
আয়াতুল কুরসি কখন পড়তে হয়?
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায়, প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ও ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়লে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।
আয়াতুল কুরসির মর্যাদা এত বেশি কেন?
আল্লাহর একত্ববাদ, মর্যাদা ও গুণের বর্ণনা থাকায় এই আয়াতে অনেক ফজিলত রেখেছেন। এটি পাঠ করলে অসংখ্য পুণ্য লাভ হয়। আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহও পাঠ করতে পারেন।
তাই প্রতি নামাজ শেষে, ঘুমানোর আগে বেশি বেশি আয়াতুল কুরসি পাঠ করার অভ্যাস করুন।